ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া রোধ করার ১০ টি টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত

মানুষের দৈহিক গঠনের সৌন্দর্য গুলোর মধ্যে চুল বিশেষ গুরুত্ব বহন করে ।ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া রোধ করতে পারলে সহজেই  কালো ঘন সিল্কি চুল পাওয়া যায় । প্রতিটি মেয়েরই লম্বা ঘন চুল  পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে । কিন্তু বিভিন্ন কারণে আমাদের মাথার চুল পড়তে দেখা যায় ।


 আর তখনই আমরা অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ি,কিভাবে আমরা আমাদের চুলগুলো ঘন ও কালো করতে পারব । যদি আপনিও চুল পড়া সমস্যা নিয়ে ভোগেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই ।আজকে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া রোধ করার বিস্তারিত উপায় গুলো সম্পর্কে জানব আশা করছি পুরো ব্লগটি পরলে আপনি আপনার সমস্যাগুলোর সমাধান ঘরে বসে করতে পারবেন ।

ভূমিকা

একজন মানুষের স্বাভাবিকভাবেই যেমন চুলের বৃদ্ধি ঘটে ঠিক তেমনি একটা নির্দিষ্ট সময় পর চুল স্বাভাবিকভাবেই পড়ে যেতে পারে । এটি খুবই ন্যাচারাল একটি বিষয় । আমেরিকার একজন ডার্মাটোলজিস্ট বলেন একজন মানুষের প্রতিদিন 50 থেকে ১০০ টি চুল পড়ে যেতে পারে । এদের চিন্তার কোন কারণ নেই । 

কিন্তু যখনই আপনার প্রতিদিন গড়ে অনেক বেশি চুল পড়তে দেখা যাবে, তখনই আপনি মনে করবেন আপনার বিশেষ কোনো সমস্যার কারণে হয়তোবা চুল পড়ে যাচ্ছে ।
 তবে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলে খুব সহজেই চুলের বৃদ্ধি ঘটানো যায় এবং চুল পড়া রোধ করা যায় ।

নিয়মিত চুলে তেল দিলে সপ্তাহে অন্তত দুইদিন শ্যাম্পু করলে ও ঠিকমতো পরিচর্যা ও যত্ন করলে খুব সহজেই চুল পড়া রোধ করা যায় । ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া রোধ করতে অবশ্যই আপনাকে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান ব্যবহার করতে হবে চলুন এই উপাদানগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক ।

চুল পড়ার কারণ

একটা নির্দিষ্ট সময় পর আমাদের মাথার চুল পড়ে গিয়ে আবার নতুন চুল গজায় । কিন্তু সেই নির্দিষ্ট সময়ের আগে যদি আমাদের চুল পড়ে যায় তাহলে বিষয়টা অবশ্যই চিন্তার । সঠিকভাবে যদি চুলের নিয়মিত যত্ন না নেয়া হয় তাহলেও অনেক সময় চুল ঝরে পড়ে । এছাড়াও আরো বিশেষ কিছু কারণ আছে যার জন্য চুল পড়তে পারে । যেমন
  • আপনি ডায়েটে আছেন কিন্তু আপনার ডায়েট হেয়ার ফ্রেন্ডলি নয় সেক্ষেত্রে আপনার চুল পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে ।
  • আপনার রেস্টিং ফেজ এর জন্য অনেক সময় চুল ঝরে পরে ।
  • আপনার চুলে ক্ষতিকর কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করার জন্য অনেক সময় চুল ঝরে পড়ে
  • গোসলের পর ভেজা চুল আঁচড়ানো উচিত নয় এ সময় চুলের গোড়া নরম থাকে ফলে খুব দ্রুত চুল ভেঙে পড়তে পারে
  • হেয়ার স্টাইল করার সময় আমরা অনেক সময় চুলে অতিরিক্ত হিট দিয়ে ফেলি যার ফলে চুল ঝরে পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে
  • চুল রাবার ব্যান্ড দিয়ে শক্ত করে বাধার ফলেও চুলের গোড়া নরম হয়ে ভেঙে যেতে পারে
  • ক্ষতিকর ইউ ভি রশ্মি সরাসরি চুলে পড়লে চুলের অনেক ক্ষতি হয় তাই বাইরে রোদের সময় অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করা উচিত ।
  • অনেক সময় দীর্ঘদিন যাবত কোন ওষুধ সেবন করলে বা বড় রকমের কোন সার্জারি করলে আমাদের মাথার চুলে এর একটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়
  • ক্যান্সার জাতীয় বড় অসুস্থতার ক্ষেত্রে কেমোথেরাপির সময় চুল পড়ে যায় ।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন একটা মানুষের স্বাভাবিক চুল পড়ার হার প্রতিদিন প্রায় ১০০ টি । কিন্তু যখনই ১০০টির অধিক হারে চুল পড়ে তখন আমাদের অবশ্যই চুলের প্রতি যত্নশীল হতে হবে । কারণ চুল এর ওপর একজন মানুষের আপাদমস্তক সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে । চুল পড়ার কারণগুলো লক্ষ্য রেখে আমাদের নিজেদের চুলের যত্ন নিতে হবে ।


ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া রোধ করার টিপস

চুলে কোন রকমের রাসায়নিক বা ক্ষতিকারক উপাদান ব্যবহার না করে বাড়িতে বসে আপনি খুব সহজেই প্রাকৃতিক উপায়ে কিছু হেয়ার প্যাক বানিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন । যা আপনার চুলকে ঝলমলে ও সিল্কি করতে সাহায্য করবে । এছাড়াও কিছু তেল আপনি নিজেই বানিয়ে নিয়ে সেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলেও খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায় । এ জাতীয় কিছু প্রাকৃতিক উপাদান গুলোর মধ্যে রয়েছে

নারিকেল তেলঃ চুলের যত্নে নারিকেল তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান । নারিকেল তেলে রয়েছে বিশেষ এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুলকে নরম ও ঝলমলে করে তোলে । এছাড়াও নারিকেল তেল আমাদের মাথার স্কাল্প কে মধ্যে রক্ত চলাচল সাহায্য করে । তবে বাজারে বোতল জাত যে তেল গুলো পাওয়া যায় সেগুলোর বেশিরভাগই ভেজাল মিশ্রিত থাকে । কিন্তু আপনি যদি নারিকেল তেল বাড়িতে বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে বেশি উপকার পাওয়া যায় ।

ক্যাস্টর অয়েলঃ চুল পড়া রোধ করতে ক্যাস্টর অয়েলের কথা বলে শেষ করা যাবে না । আসলে ক্যাস্টর অয়েল এমন একটি তেল যা আপনার চুল পড়া রোধ করতে খুব দ্রুত সাহায্য করে । নিয়ম মেনে এই তেল ব্যবহার করলে আপনি নিজেই আপনার চুলের পরিবর্তনটা লক্ষ্য করতে পারবেন । তবে ক্যাস্টর অয়েল অনেক গারো ও ভারী হওয়ায় চুলে দেওয়ার আগে অবশ্যই নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে পাতলা করে ব্যবহার করতে হয় ।

পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজ আমাদের রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় তাই আমাদের সবার বাসাতেই সব সময় পেয়াজ উপাদানটা থাকেই । এই পেঁয়াজের রস কে ব্যবহার করে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া রোধ করতে পারি । পেঁয়াজ কুচি করে কেটে  নিব । 
তারপর পাটায় বেটে অথবা ব্লেন্ড করে সেই মিশ্রণটা আমাদের চুলের গোড়ায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে হবে । তারপর ভালো মতো শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে । এই পেস্টটা নিয়মিত ব্যবহার করলে খুব দ্রুত চুলের বৃদ্ধি ঘটে । পেঁয়াজের খোসা পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে সেই পানি চুলের গোড়ায় লাগালেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায় ।

আলমন্ড অয়েলঃ কাঠবাদাম থেকে নিঃসৃত যে তেল পাওয়া যায় তাকেই এলমোট অয়েল বলে । প্লে আলমন্ড অয়েলের প্রোটিন থাকায় আমাদের চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করে ।

গরম তেল ম্যাসেজঃচুল পড়া বন্ধ করার জন্য নারিকেল তেল বা বাদাম তেল গরম করে চুলের গোড়ায় মেসেজ করলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায় । এই গরম তেল আমাদের চুলের ফলিকল গুলোতে রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে এবং ত্বক কে কন্ডিশন করে । মাথায় খুশকির সমস্যা থাকলেও তা দূর হয়ে যায় । আপনি নিয়মিত আপনার মাথার ত্বকে এই গরম তেল দিয়ে মেসেজ করুন । তাহলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আপনি আপনার চুল পড়া কমে আসবে ।

মেথির প্যাকঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া রোধ করতে মেথির প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন । কিছু মেথি তেলের সাথে মিশিয়ে সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন । অথবা খুব দ্রুত ফলাফল পাওয়ার জন্য কিছু মেথি রাতে ভিজিয়ে রাখুন । তারপর সকালে ভালোমতো ব্লেন্ড করে সরাসরি চুলের গোড়ায় ব্যবহার করুন । ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন । এভাবে সপ্তাহে অন্তত দুইদিন ব্যবহার করলে মাথার ত্বক সুস্থ থাকে ও চুল পড়া রোধ করা যায় ।

এলোভেরার প্যাকঃ এলোভেরার গাছ কমবেশি আমাদের সবার বাড়িতেই থাকে । তাই আপনি খুব সহজেই অ্যালোভেরার একটি বাসাতেই বানিয়ে নিতে পারবেন । এলোভেরার প্যাক বানাতে খুব বেশি কিছু প্রয়োজন পড়ে না । একটি অ্যালোভেরার পাতা নিয়ে অ্যালোভেরা রস গুলো বের করে   নিবেন। 

তারপর ভালোমতো ব্র্যান্ড করে নিবেন । তারপর আপনার চুলের গোড়ায় আস্তে আস্তে মেসেজ করে লাগিয়ে ফেলুন । কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন । অ্যালোভেরা ঝলমলে ও মজবুত করতে খুব কার্যকরী উপাদান ।এছাড়াও মাথা ঠান্ডা রাখতে অ্যালোভেরার জেলবিশেষ ভূমিকা পালন করে ।

ডিমের প্যাকঃ ডিম এমন একটি উপাদান যা আমরা খেতে পারি আবার মাথায়ও লাগাতে পারি । ডিমের মধ্যে এক ধরনের ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা আমাদের চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে । ডিমের মধ্যে থাকা ফ্যাটি এসিড চুলে পুষ্টি যোগায় ও চুলের আগা ফাটা রোধ করতে সাহায্য করে ।

 একটি ডিমের সাদা অংশ ও অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন । তারপর আপনার চুলে এই পেস্টটি সরাসরি লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন । ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ভালো শ্যাম্পু দিয়ে চুলকে পরিষ্কারভাবে ধুয়ে ফেলুন ।

আমলকি তেলঃ আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ।আমলকিতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা ক্ষতিকারক রেডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে । এবং নতুন চুল গজাতে ও কোষ গুলোকে পুনর্জীবিত করে । নারিকেল তেলের সাথে আমলকির রস মিশিয়ে একটি বোতলের সংরক্ষণ করতে পারেন । তারপর নিয়মিত চুলের গোড়ায় এই তেল ব্যবহার করুন ।

জবা ফুলের রসঃ জবা ফুলের রস চুলের বৃদ্ধি ঘটায় । ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া কমাতে জবা ফুল এর রস নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে আপনি ব্যবহার করতে পারেন । অথবা জবা ফুল গুড়ো করে আপনি একটি পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন । নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে জবা ফুল ।

চুলের জন্য ভিটামিন ই এর গুরুত্ব

নতুন চুল গজাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই কার্যকারী একটি উপাদান । চুল কে ঘন ঝলমলে ও স্বাস্থ্যজ্জল করে তোলে । ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলে ব্যবহার করা যায় । এই ভিটামিনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । চুলকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।

 এছাড়া নতুন চুল গজাতে চুলের আগা ফাটা রোধ করতে চুলকে মজবুত করতে ভিটামিন ই এর ভূমিকা অনেক । বলা যায় চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধানে ভিটামিন ই ক্যাপসুল । ব্যবহার করা যায় । যে কোন তেলের সাথে এই ক্যাপসুল মিশিয়ে ব্যবহার করতে হয় । ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের স্ট্রেস এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ।

আদ্রতা ধরে রাখে ও চুলকে মজবুত করে । ভিটামিন ই ক্যাপসুল বিভিন্ন হেয়ার প্যাক এর সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায় । খুব দ্রুত ও কার্যকারী ফলাফল পাওয়ার জন্য নিয়মিত নারিকেল তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে হবে ।

চুল পড়া রোধ করতে ভালো মানের শ্যাম্পু

বাজারে আজকাল অনেক শ্যাম্পু পাওয়া যায় । যা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে ।কিন্তু আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী কোন শ্যাম্পুটা আপনার কাজে দিবে সেটা খুঁজে বের করাটাই আসল বিষয় একটু কঠিন বিষয় ।ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া রোধ করার পাশাপাশি এই শাম্পু গুলো ব্যবহার করতে পারেন । অনেক রকম হারবাল শ্যাম্পু আছে যেগুলো চুল পড়া রোধ করতে খুব ভালো কাজ করে । তবে দাম বিভিন্ন রকম হয় । তবে আপনি নিচের শ্যাম্পু গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন এগুলো চুল পড়া রোধ করতে ভালো ভূমিকা পালন করে
  • হিমালয়া হারবাল ড্যামেজ রিপেয়ার প্রোটিন শ্যাম্পু
  • লরিয়াল প্যারিস ফল রিপেয়ার অ্যান্টি হেয়ার ফল শ্যাম্পু
  • প্যান্টিন অ্যাডভান্সড হেয়ার ফল সলিউশন হেয়ার ফল কন্ট্রোল শ্যাম্পু
  • ডাব হেয়ার ফল রেসকিউ শ্যাম্পু
  • দ্যা মমস কো ন্যাচারাল প্রোটিন তিন শ্যাম্পু
  • ট্রেসিমি হেয়ার ফল ডিফেন্স শ্যাম্পু
সময় হরমোনাল জনিত কারণেও চুল অত্যাধিক চুল পড়তে দেখা যায় । আবার প্রেগনেন্সির সময় বা দুগ্ধ জাত মায়েদের ক্ষেত্রেও চুল পড়াটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয় । এই সময় প্রোটিন জাত খাবার ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পাশাপাশি চুলের যত্ন নিলে আশা করা যায় চুল পড়াটা অনেকাংশেই কমে যাবে । আর চুল পড়া রোধে উপরের শ্যাম্পু গুলো ব্যবহার করলে আরো দ্রুত কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যাবে ।


চুল পড়া বন্ধ করতে কি খাবেন

চুল পড়াজনিত সমস্যায় আমরা কম বেশি সবাই ভুগি । বিশেষ করে আমাদের দেশে শীতকালে ও বর্ষাকালে চুল একটু বেশি পরে । আমাদের অনিয়মিত জীবন যাপন ও খাদ্য অভ্যাসের জন্য অনেক সময় অতিরিক্ত চুল পড়তে দেখা যায় তবে একটু নিয়ম মেনে খাদ্য অভ্যাস গ্রহণ করলে খুব সহজেই এই সমাধান থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । চুল পড়া কমাতে কিছু খাবার খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ।

ডিমঃ ডিম একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার । ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রোটিন । প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে আমাদের স্বাস্থ্য যেমন সুস্থ থাকে তেমনি আমাদের চুলের অনেক উপকার হয় । চুলকে ঘন ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে তুলতে ডিমের গুরুত্ব অপরিসীম ।

লেবুঃ লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে । যা আমাদের স্কিন কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । এছাড়াও লেবু চুলকে ঘন ও ঝলমলে রাখে

পালং শাকঃ পালং শাক শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর একটি উপাদান নিয়মিত পালং শাক খেলে আমাদের ত্বক ও চুল দুটোই ভালো থাকে । এছাড়া পালং শাক চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে ।
আখরোটঃ নিয়মিত আখরোট খেলে চুল পড়া দ্রুত কমে যায় ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে । আখরোটে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন যা মাথার স্কাল্পকে ভালো রাখে ।

শেষ কথা 

 ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া রোধ করার উপায় নিয়ে আমরা আজকের এই ব্লগে আলোচনা করলাম আশা করি আপনারা এই ব্লগটি পড়ে একটু হলেও উপকৃত হয়েছেন এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ ব্লগ পেতে চাইলে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটের ভিজিট করবেন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url