পানি বাহিত রোগ এর কারণ ও প্রতিকার এর উপায় গুলো জেনে নিন
পানিবাহিত রোগ গুলো দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়ায় । বিশেষ করে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে পানিবাহী রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায় । পানি বাহিত রোগ গুলো মানুষের শরীরে অন্ত্রে, পাকস্থলি , পৌষ্টিক নালী সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রোগের সৃষ্টি করে ।পানি বাহিত রোগ এর কারণ , এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় গুলো নিয়ে আমরা আজকে এই ব্লগে আলোচনা করব ।
পুরো ব্লগটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল ।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম গুলোতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয় । এছাড়া শহরগুলোতে বিশুদ্ধ পানির অভাব থাকার ফলে অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে বর্ষাকালে যে সকল অঞ্চলগুলোতে বন্যা হয়ে থাকে সেই অঞ্চলগুলোতে বিশুদ্ধ খাদ্য পানির অভাব দেখা দেয় ।ফলে সেখানেও পানিবাহিত রোগ গুলোর আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে ।
এইসব রোগ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে । এবং সবাইকে সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে বিশুদ্ধ পানি পান করার জন্য ও ব্যবহার করার জন্য ।
পানিবাহিত রোগ
অপরিশুদ্ধ বা দূষিত পানি রান্নার কাজে অথবা পান করার ফলে আমাদের শরীরে যে ধরনের অসুখ বা নানাবিধ রোগব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হয় তাকে পানিবাহিত রোগ বলে । পানির মধ্যে থাকা রোগ জীবাণুর জন্যই পানিবাহিত রোগের সংক্রমণ হয়ে থাকে । বাংলাদেশে বর্ষাকালে বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলোতে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায় ।
এছাড়াও অনুন্নত গ্রামগুলোতে স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবের ফলে ওই অঞ্চলের মানুষগুলো এ জাতীয় রোগের আক্রান্ত হতে পারে । পানির মধ্যে থাকা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার জন্য ডায়রিয়া জন্ডিস কলেরা নামক পানিবাহিত রোগ গুলো হয় । মানুষের শরীরে এই জীবাণুগুলো অনেক খারাপ প্রভাব ফেলে । বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগ এর কারণ গুলর জন্য টাইফয়েড ,জন্ডিস ,ডায়রিয়া ,কলেরা ,রোগগুলো হয় হয়ে থাকে । এছাড়াও আর্সেনিকজনিত সমস্যার কারণে মানুষের শরীরে চর্মরোগ দেখা দেয় ।
পানি বাহিত রোগের নাম
বাংলাদেশের পরিষ্কার পানি পান না করার ফলে গ্রাম অঞ্চলের মানুষজন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় বেশি । এছাড়াও আমাদের শহর গুলোতে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পানির অভাব থাকায় ঢাকা শহরে পানি বাহিত রোগের আক্রমণে হারও দিন দিন বাড়িতে দেখা যাচ্ছে । নিম্নে কিছু পানিবাহিত রোগের নাম উল্লেখ করা হলো
- কলেরা
- টাইফয়েড
- আমাশয়
- ক্রিপ্টোস্পরিওসিস
- হেপাটাইটিস একটি
- অ্যামবিয়াসিস
কলেরাঃ পানিবাহিত রোগগুলোর মধ্যে কলেরা গুরুতর একটি রোগ । কলেরা রোগটি ভিব্রিও কলেরা নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট ডায়রিয়া জনিত একটি রোগ । বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের অভাবে এ কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব প্রায় এলাকাতেই দেখা যায় । কলেরা রোগের ফলে ডায়রিয়া , ও বমি হয় । সময়মতো চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ।
টাইফয়েডঃ অস্বাস্থ্যকর খাবার ও নোংরা পানির পান করার ফলে টাইফয়েড আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে । সালমোনিলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এই রোগ সৃষ্টি হয় । এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর মানুষের শরীরে জ্বরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং গ্যাসের সমস্যা হয় ।
আমাশয়ঃ সাধারণত সিগেলা নামক ব্যাকটেরিয়া কারণে আমাশয় রোগ হয়ে থাকে । এই রোগ আমাদের অন্তরে আক্রান্ত করে । ঘন ঘন ডায়রিয়া ও রক্তভূমি আমাশয় রোগের লক্ষণ ।
ক্রিপ্টস্পরিওসিসঃ এই রোগটি পরজীবী ক্রিপ্টস্পরিওসিস ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনে হয়ে থাকে । দূষিত পানি পান করার ফলে এই রোগ দ্রুত আমাদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে । এ রোগে আক্রান্ত হলে বমি বমি ভাব জলযুক্ত ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা জনিত সমস্যা দেখা দেয় । সাধারণত এই রোগ ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে সুস্থ হওয়া যায় । কিছু নিয়ম মেনে চললে ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায় ।
হেপাটাইটিস একটিঃ রোগ গুলোর মধ্যে হেপাটাইটিস একটি অন্যতম । এই হেপাটাইটিস রোগ আমাদের লিভার কে আক্রান্ত করে । নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পানির অভাবে এ রোগ আমরা আক্রান্ত হতে পারি । হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হলে রোগীর বমি বমি ভাব ক্লান্ত লাগা জন্ডিস ও পেটে ব্যথা জনিত সমস্যা হতে দেখা যায় । এই রোগটিও দূষিত পানির মাধ্যমে আমাদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ।
এমবিআসিসঃ আম্বিয়াসিস ডায়রিয়াজনিত একটি রোগ , এই অসুখটি পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত জীবাণুর মাধ্যমে আমাদের শরীরের ক্ষতি করে । দূষিত খাবার ও পানি গ্রহণের ফলে আমাদের ডায়রিয়া ও রক্ত জনিত মল নির্গত হতে দেখা যায় । ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ও আমজনিত পায়খানা দেখা যায় । এবং শরীরের অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে ।
পানি বাহিত রোগ গুলোর প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্য আমাদের অন্যতম স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে দূষিত পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য ও ওষুধ সময়মতো গ্রহণ করতে হবে এছাড়াও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে হবে তবে আমরা এই রোগগুলো থেকে আক্রান্ত হওয়া থেকে মুক্ত থাকতে পারবো ।
পানি বাহিত রোগ এর কারণ
বাংলাদেশে দিন দিন পানি বাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়ছে । এই পানিবাহিত রোগ গুলোতে শিশুদের আক্রান্তের হার বেশি দেখা যায় ।বিশেষ করে, শহরে বসবাসকারী বস্তিগুলোতে নিরাপদ খাবার পানির অভাবের কারণে ওই অঞ্চলের শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয় । এছাড়াও গ্রামে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করার ফলেও এই রোগের কারণ হতে পারে ।
তবে বর্ষাকালে আমাদের দেশে পানিবাহিত রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায় ।গোটা বিশ্বে প্রায় প্রতি বছর ১৫ লক্ষ মানুষ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে ।পানি বাহিত রোগ এর কারণ গুলোর মধ্যে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হল ।
- পানিবাহিত রোগ মূলত দূষিত ও অপরিশুদ্ধ পানি পান করার ফলেই হয়ে থাকে ।
- নোংরা পানি রান্নার কাজে ব্যবহার করা এই রোগের অন্যতম একটি কারণ
- একই পুকুরে থালা-বাসন ধোয়া ও গোসল করা কাপড় কাঁচা গবাদি পশু গোসল করানো করলে পানি দূষণ হয়ে থাকে
- আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে আমাদের শরীরে লাল গোটা রেশের মতো দেখা যায় এগুলো মূলত পানি দূষণের ফলে হয়ে থাকে
- ঢাকা শহরে নিরাপদ পানি পান না করার ফলে জন্ডিস ও ডায়রিয়া আক্রান্তের হার বাড়তে দেখা যায়
- বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলোতে নিরাপদ খাবার পানির অভাবের কারণে পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়
- ময়লা আবর্জনা ও রাসায়নিক কীটনাশক ফেললে পানি দূষিত হয়ে থাকে
- খাবার পানি ঠিকমত বিশুদ্ধকরণ না করার ফলে পানিতে উপস্থিত যেকোনো জীবাণু থাকার কারণে এই রোগের বিস্তার ঘটতে পারে
- যত্রতত্র রাস্তার পাশে যে কোন জায়গা থেকে পানি পান করার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দ্বারা আমরা আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হতে পারি ।
এছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে যেগুলো আমাদের সচেতনতার অভাবে আমরা আক্রান্ত হয়ে যায় । আসলে পানি এমন একটা জিনিস যা আমাদের সারাদিনের সার্বক্ষণিক কাজে আমরা ব্যবহার করে থাকি । প্রয়োজনীয় ব্যবহারের কাজে পানি বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করলে আমরা এই রোগ এড়াতে সক্ষম হব ।
বিশেষ করে বাচ্চাদের আমরা দূষিত পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখবো ।
পানি বাহিত রোগ এর কারণ গুলো বিবেচনা করে সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে । তবেই আমরা আক্রান্ত হওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারব ।পানি বাহিত রোগ এর কারণ গুলো নিয়ে সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে ।
পানিবাহিত রোগের লক্ষণ
পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আমাদের শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় । এই প্রাথমিক লক্ষণ গুলো দেখে বোঝা যায় আমরা আসলে পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছি কিনা । মূলত শুধু দূষিত পানির জন্য না পচা বাঁশি খাবার খেয়ে থাকলেও আমাদের শরীরে বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দিতে পারে ।
যেমন ডায়রিয়া আমাশয় কলেরা বা জন্ডিসের মতো রোগ পানি ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যের ফলে হয় । তবে পানি বাহিত রোগ সনাক্তকরণের জন্য কিছু লক্ষণ আমরা এখানে উপস্থাপন করলাম
- শরীর অনেক ক্লান্ত লাগবে ও অনেক দুর্বল লাগবে কোন কাজ করতে গেলেই মনে হবে শক্তি পাচ্ছি না শরীরে এরকম একটা অনুভূতি আসবে
- পাতলা পায়খানা ও বমি বমি ভাব দেখা যায়
- খাবারের অরুচি ও পেটে অনেক ক্ষুধা থাকা শর্তেও কোন খাবার খেতে ইচ্ছা না করা
- ও পেটে ব্যথা করা ও পাতলা পায়খানা হতে দেখা যায়
- শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল লাল ফুসকুড়ির মত গোটা হতে দেখা যায়
- গায়ে হালকা জ্বর থাকা ও গা হাত পা ব্যথা করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা অনুভব হওয়া ।
- শরীরের সব সময় অলস ও অসুস্থতা বোধ করা এবং দিনদিন কর্ম ক্ষমতা কমে যাওয়া ।
প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার জন্য । ও অসচেতনতার জন্য আমাদের দেশে গ্রামের অশিক্ষিত মানুষ গুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে । নিরাপদ পানি পান করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে । আর্সেনিকযুক্ত টিউবয়েল গুলোতে চিহ্নিত করে , আর্সেনিক মুক্ত টিউবয়েলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে । এবং এই পানিবাহিত রোগের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পাওয়ার পর সাথে সাথে আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে ।
পানিবাহিত রোগের চিকিৎসা
পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রাথমিক লক্ষণগুলো বুঝতে পারলে এই রোগের চিকিৎসা ঘরে বসেই নেয়া সম্ভব । রোগীকে বেশি করে তরল জাতীয় খাবার দিতে হবে বিশেষ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে তরল জাতীয় খাবার ও স্যালাইন যুক্ত পানি খাওয়ানো খুব বেশি জরুরি । এছাড়া ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত রোগের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ওষুধ দেয়া যেতে পারে ।
এছাড়া জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে ডাবের পানি খুবই কার্যকরী একটি খাবার । এই সময় রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার ঘুম ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করলে রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হতে পারবে । এছাড়াও রোগীর অবস্থা যদি খুব বেশি খারাপ হয়ে যায় তাহলে রোগীকে নিকটস্থ হসপিটালে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ।পানি বাহিত রোগ এর কারণ এ আমাদের দেশ এ প্রতি বছর মানুষ অনেক রোগ এ আক্রান্ত হচ্ছে ।
পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে করণীয়
রোগের যেন আক্রমণ কমে যায় সে ক্ষেত্রে আমাদের সবারই সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে এবং কিছু স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে । যেন পরবর্তীতে আক্রান্তের হার কমে আসে । সে ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই কিছু নিয়ম মানবো যেমন
বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার নিশ্চিত করাঃ বাসায় খাবার পানি ও রান্নার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে তা না হলে পানিবাহিত রোগের সংক্রমণের হার কমানো কখনোই সম্ভব নয় । বাসায় ফিল্টার দিয়ে অথবা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়ে খাবার পানি দূষণমুক্ত করে নিতে হবে ।
স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনঃ খাওয়ার আগে অবশ্যই পরিষ্কারভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে এবং খাবারের পাত্র জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে বাসায় ছোট বাচ্চাদের সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে রান্নার সময় বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে পানি বাহিত রোগের সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব ।
টিকা দেওয়াঃ কলেরা, হেপাটাইটিস টাইফয়েড এর মত রোগের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেওয়া যায় ।নিয়ম মেনে সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন দিয়ে নিতে হবে ।
সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ রান্নার সময় সবজি বিশেষ করে শাক খুব ভালোমতো ধুয়ে নিতে হবে । শাকের মধ্যে অনেক সময় ছোট ছোট পোকা থাকে এগুলো আমাদের শরীরে গেলে অনেক রোগের সৃষ্টি হয় । এবং রান্না যেকোনো সবজি ভালো মতো সেদ্ধ হয় এ বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে । অল্প রান্না বা কাঁচা খাবার না খাওয়াই ভালো ।
সতর্কতা অবলম্বনঃ নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহন করতে হবে । বিশেষ করে বাহিরে ভ্রমন এর সময় যেকোনো জায়গার পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে ও বোতলজাত জুস বা প্যাকেটজাত পরিশুদ্ধ জুস পান করা থেকে অবশ্যই আমাদের বিরত থাকতে হবে । রাস্তার পাশের হোটেলে যে খাবারগুলো পাওয়া যায় সেগুলো স্বাস্থ্য সম্মত কিনা তার নিশ্চিত হয়ে তবে আমাদের খাওয়া উচিত । খাবারের ওপরে মাছি বা পোকামাকর দেখা গেলে তা অবশ্যই খওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ।
শেষ কথা
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পানি সরবরাহের অভাব ও স্বাস্থ্য অসচেতনতার জন্য আমাদের দেশে পানিবাহিত রোগের আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে । আমি আজকের ব্লগে পানিবাহিত রোগ এর কারণ ও আক্রান্তের কিছু লক্ষণ ও বিশেষ কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি । যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন । এবং সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করবেন । ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url